মিলন, -নলিনীবালাদেৱী, ১২ শ্রেণীর বাবে



১। নলিনীবালা দেৱীক কি কবিরূপে জনা যায়?
উত্তরঃ নলিনীবালা দেৱীক আধ্যাত্মিক, রহস্যবাদী বা অতিন্দ্রিয়বাদী কবিরূপে জনা যায় ।

২।নলিনীবালা দেৱীৰ আত্মজীৱনীখনির নাম কি?
উত্তরঃ নলিনীবালা দেৱীৰ আত্মজীৱনীখনির নাম হ’ল- এরি অহা দিনবোর ।

৩। ‘জাগৃতি’ কাব্য গ্রন্থখনর মাজেরে কবির কি মনোভাৱ প্রকাশ পাইছে?
উত্তরঃ ‘জাগৃতি’ কাব্য গ্রন্থখনর মাজেরে কবির স্বদেশপ্রেমর মনোভাৱ মনোভাৱ প্রকাশ পাইছে ।

৪। ‘মিলন’ কবিতাটিত কবিয়ে ‘তোমার’ বুলি কাক বুজাইছে?
উত্তরঃ ‘মিলন’ কবিতাটিত কবিয়ে ‘তোমার’ বুলি পরমআরাধ্য ভগৱানক বুজাইছে ।

৫। নলিনীবালা দেৱীয়ে কোনখন কাব্যগ্রন্থর বাবে সাহিত্য একাডেমী বঁটা লাভ করিছিল ।
উত্তরঃ ১৯৬৮ চনর ‘অলকানন্দা’ কাব্যগ্রন্থর বাবে সাহিত্য একেডেমী বঁটা লাভ করিছিল ।

খ) ১। নলিনীবালা দেৱীয়ে রচনা করা দুখন জীৱনীৰ নাম লিখা ।
উত্তরঃ নলিনীবালা দেৱীয়ে রচনা করা দুখন জীৱনীৰ নাম হ’ল- ‘স্মৃতিতীর্থ’ আরু ‘বিশ্বদীপা’ ।

২। কবির পরম আরাধ্যজনে আহি নিতৌ তেওঁক কেনেকৈ দর্শন দিয়ে ?
উত্তরঃ করিব পরম আরাধ্যজনে সপোনে-দিঠকে, মানসর তীরে তীরে আহি নিতৌ তেওঁক দর্শন দিয়ে । পৃথিৱীৰ সকলো ঠাইতে আরু প্রায় সকলোতে পরমজনর অস্তিত্ব অনুভৱ করে ।

৩। কবিয়ে ‘আছা মোর নিজান কোণত’ বুলি কার কথা বুজাইছে?
উত্তরঃ কবিয়ে ‘আছে মোর নিজান কোণত’ বুলি পরম আরাধ্য ভগৱানৰ কথা বুজাইছে । কবিয়ে উল্লেখ করিছে যে শারীরিক স্ব-চক্ষুরে দেখা নাপালেও মনর দৃষ্টির সৈতে তেওঁ হৃদয়র গভীর কোণত নিতৌ ভগৱানৰ সান্নিধ্য উপলব্ধি করে ।

৪।কোনে নিয়রর মালা গাঁথি রাতিপুৱা কবিক দেখা দিয়ে?
উত্তরঃ নিশার জোনাকী পোহর, গধূলির তরাভরা আকাশর মোহনীয় সৌন্দৰ্য সুৱরাই কবি নলিনীবালা দেৱীর ভগৱান প্রীতির ধারণাক গভীর করি তুলে । রাতিপুৱা সূর্যর পোহরত জিলিকি উঠা নিয়র কণিকার জিল্মিল শোভাই জেন পরমজনার মোহনীয় জ্যোতিরূপে কবিক দেখা দিয়েহি ।

৫। ভাগরুৱা হৈ টোপনির কোলাত থাকিলে কবিয়ে কাক দেখা পায়?
উত্তরঃ ভাগরুৱা হৈ টোপনির কোলাত থাকিলে কবিয়ে পরমজনাক দেখা পায় । কবিয়ে পরম আরাধ্যজনর অস্তিত্ব পৃথিৱীৰ সকলো বিষয়র মাজতে উপলব্ধি করে ।

(গ) ১। নলিনীবালা দেৱীৰ কবিতাসমুহর মাজেরে মূলতঃ কি ভাৱধারা প্রকাশ করিছে তোমার পাঠতির আধারত আলোচনা করা ।

উত্তরঃ অসমীয়া রহস্যবাদী কাব্যক্ষেত্রখনর এটি উল্লেখযোগ্য আরু সু-পরিচিত নাম হ’ল-নলিবীবালা দেৱী । তেওঁর কবিতাসমূহর মাজেরে  প্রজ্ঞা আরু প্রতিভার অপূর্ব মিলন ঘটিছে । সেয়েহে তেওঁর কবিতাত আধ্যাত্মিক চেতনার অপূর্ব প্রকাশ দেখিবলৈ পোৱা যায় । অতিন্দ্রীয়বাদী ভাৱ আরু বেদান্ত দর্শনর প্রতি একান্ত অনুরাগ তেওঁর কবিতাত প্রতি স্পষ্ট আরু আকর্ষণীয় রূপত পরস্ফুট হৈ উঠিছে ।
    ‘মিলন’ কবিতাত কবিয়ে পরম আরাধ্যজনর অস্তিত্ব পৃথিৱীৰ সকলো বিষইয়র মাজতে উপলব্ধি করে । সপোনে-দিঠকে পরমজনর অস্তিত্বক নিজর হৃদয়র মাজত অনুভৱ করে । নিশার জোনাকী পোহর, তরাভরা আকাশর মোহনীয় সৌন্দৰ্য-সুষমাই কবির ভগবৎ প্রীতির ধারণাক গভীর করি তোলে । আকৌ রাতিপুৱা সূর্য উদয় হোৱাৰে পরা নিশা গভীর নিদ্রাত পরালৈকে প্রতিটো ক্ষণতে পরমজনর অস্তিত্ব ভিন্ন ভিন্ন ধরণেরে অনুভৱ করে । কবির মতে পরমজনর সান্নিধ্য অনুভৱৰ প্রতিটো মুহূর্ততে তেওঁর ভগৱানৰ সৈতে হোৱা অন্তহীন মিলন ।

২।‘মিলন’ কবিতাটিত কবিয়ে কার লগত কার মিলন হোৱাৰ কথা বুজাইছে আলোচনা করা ।
উত্তরঃ ‘মিলন’ কবিতাটিত কবি নলিনীবালা দেৱীয়ে পরম আরাধ্য ভগৱানর লগত কবির মিলন হোৱার কথা বুজাইছে । কবিতাটিত কবির আধ্যাত্মিক চেতনার প্রতিধ্বনি অনুভূত হৈছে । কবিয়ে পরম আরাধ্যজনর অস্তিত্ব পৃথিৱীৰ সকলো বিষয়র মাজতে উপলব্ধি করে । কবির মনর গোপন দেশশর নিজান কোণত, সপোনে-দিঠকে, জোনাকীর স-কোমল পোহরত, নিশার আকাশর তরার মোহনীয় তিরবিরণীর মাজত, গধূলির ক্ষীণ পোহরত, ধায়নর সময়ত, হৃদয়র গভীর আবেগশীলতার মাজত, সারহীন নিশার নিস্তব্ধতার মাজত, উষার রাঙলী পোহরত আদি সকলোতে কবিয়ে পরমজনার অস্তিত্ব অনুভৱ করে । পরমজনর লগত কবির অন্তরত জাগি উঠা এই ভিন্ন রূপর অনুভৱক কবিয়ে মিলন বুলি অভিহিত করিছে ।

৩।কবিয়ে তেওঁর পরম আরাধ্যজনক ক’ত, কেনেকৈ নিতৌ দেখা পায় বুলি কৈছে, চমুকৈ লিখা ।
উত্তরঃ কবি নলিনীবালা দেৱীয়ে ‘মিলন’ কবিতাটিত  তেওঁর পরম আরাধ্যজনক পৃথিৱীৰ সকলো বস্তু আরু অৱস্থার মাজতে দেখা পায় বুলি কৈছে । সপোনে-দিঠকে তেওঁ পরমজনর অস্তিতবক হৃদয়র নিজান কোণত অনুভৱ করে । মনুর গোপন দেশর নিজান কোণত, সপোনর জগতত পরম আরধ্যজনে আহি কবিক দেখা দিয়েহি । নিশার জোনাকী পোহরত, সন্দিয়ার তরাভরা আকাশর মোহনীয় সৌন্দৰ্য-সুষমারর মাজত, গধূলির ম্লান আন্ধারত, ধ্যানর মুহূর্তত, সূর্য উদয় হোৱা সময়র পরা নিশা গভীর নিদ্রাত পরার সময়লৈকে প্রতিটো ক্ষণতে কবিয়ে ভিন ভিন রূপত পরমজনাক দেখিবলৈ পায় ।

৪। কবিয়ে ‘তোমার লগত মোর অনন্ত মিলন’ বুলি কি বুজাইছে, ব্যাখ্যা করা ।
উত্তরঃ অতীন্দ্রিয়বাদী কবি নলিনীবালা দেৱীইয়ে ‘মিলন’ কবিতাত আধ্যাত্মিক চেতনার ধ্বনি শুনিবলৈ পোৱা যায় । ব্যক্তিগত জীৱনর ঘাত-প্রতিঘাত আরু দুখ-বেদনাই কবিক ভারাক্রান্ত করি পেলাইছিল । সেয়েহে কবিয়ে শোক-সন্তপ্ত হৃদয়ত শান্তি আরু শক্তি লভিবলৈ ভগৱানর লগত মিলনর পথ বাচি লৈছিল । সেয়ে তেখেতর কবিতার মাজত অতিন্দ্রিয়বাদী সুর শুনা যায় । কবির ভগৱৎ প্রঈতিয়ে কবিক জীয়াই থকার সমল আরু প্রেরণা যোগায় । কবিয়ে সেয়ে ‘মিলন’ কবিতাটিত রাতিপুৱা সূর্য উদয়্য হোৱারে পরা সারহীন নিশা গভীর নিদ্রাত পরালৈকে প্রতিটো ক্ষণতে কবিয়ে পরমজনার অস্তিত্ব ভিন ভিন ধরণে ভিন ভিন রূপত অনুভৱ করে বুলি প্রকাশ করিছে । এই ভিন্ন রূপর অনুভৱকে কবিয়ে পরমজনর প্রতি ‘তোমার লগত মোর অনন্ত মিলন’ বুলি অভিহিত করিছে ।

৫। ‘মিলন’ কবিতাটির মাজেরে কবির আধ্যাত্মিক অনুভূতি কেনেদরে প্রকাশ পাইছে চমুকৈ  আলোচনা করা ।
উত্তরঃ রহস্যবাদী কবি নলিনীবালা দেৱীৰ কবিতার মাজত ঘাইকৈ আধ্যাত্মবাদর সুর শুনিবলৈ পোৱা যায় । তেওঁর কবিতাবোরর মাজেদি কবিগরাকীর প্রজ্ঞা আরু প্রতিভার অপূর্ব মিলন ঘটিছে । ভারতীয় ধর্ম, সংস্কৃতি আরু দর্শনর প্রতি নলিনীবালা দেৱীর আছিল অপরিসীম শ্রদ্ধা আরু আনুগত্য । কবিয়ে তেওঁর ব্যক্তিগত জীৱনর দুখ আরু বেদনাক ভাওতীয় ধর্ম আরু দাৰ্শনিক চিন্তার মাজেদি বিচার করি তেখেতর মূল্যবান কবিতাসমুহর জরিয়তে ব্যক্ত করিছে । সেয়েহে ‘মিলন’ কবিতাত আধ্যাত্মিক চেতনার পরিস্ফুরণ দেখিবলৈ পোৱা যায় ।
    কবিয়ে পরম আরাধ্যজন্নর অস্তিত্ব পৃথিৱীৰ সকলো বিষয়র মাজতে অপলব্ধি করে, সপোনে-দিঠকে, মানসর তীরে তীরে তেওঁ পরমজনর অস্তিত্বকে নিজর হৃদয়র নিজান কোণত অনুভৱ করে । নিশসার জোনাকী পোহর, গধূলির তরা-ভরা, আকাসসর মোহনীয় সৌন্দৰ্য, দোভাগ নিশশা সারহীন নিশ্চুপ জগতর মাজতো তেওঁ পরম আরাধ্যজনকে বিচারি পায় । রাতিপুৱা সূর্য উদয় হোৱার পরা নিশা গভীর নিদ্রাত পরালৈকে প্রতিটো ক্ষণতে কবিয়ে পরম আরাধ্যজনর অস্তিত্ব ভিন্ন ধরণেরে অনুভৱ করে । কবির মাতে এয়াই তেওঁর পরম জনার সৈতে হোৱা অনন্ত মিলন । এইদরেই কবির আধ্যাত্মিক অনুভূতি ‘মিলন’ কবিতাটোত প্রকাশিত হৈছে ।  

updating & checking..........