অরুণিমা সিনহা, জয়শ্রী গোস্বামী মহন্ত, নোট- পদ্মেশ্বর



প্রশ্নাৱলীঃ

১। চমুকৈ উত্তর লিখাঃ

(ক) অরুণিমা সিনহার কোনবিধ খেলত বিশেষ দক্ষতা আছিল?
উত্তরঃ অরুণিমা সিনহার ভলীবল খেলত বিশেষ দক্ষতা আছিল ।

(খ) অরুণিমা সিনহার ঘর ক’ত?
উত্তরঃ অরুণিমা সিনহার ঘর উত্তর প্রদেশত ।

(গ) হস্পিতালত থাকোঁতে অরুণিমার মনত কি সপোনে তীব্র রূপ লৈছিল?
উত্তরঃ হস্পিতালত থাকোঁতে অরুণিমার মনত হিমালয়র শৃংগলৈ উঠার সপোনে তীব্র রূপ লৈছিল ।

(ঘ) চিকিৎসালয়র পরা ওলাই গৈ অরুণিমাই কাক আরু কিয় লগ ধরিছিল?
উত্তরঃ চিকিৎসালয়র পরা ওলাই গৈ অরুণিমাই হিমালয়র শৃংগলৈ উঠার প্রশিক্ষণর বাবে এভারেষ্ট বিজয়ী বাচেন্দ্রি পালক লগ ধরিছল ।

(ঙ) মাউণ্ট এভারেষ্টত অরুণিমাই কেতিয়া আরোহণ করিছিল? তেওঁ তাত কিমান সময় ধরি আছিল?
উত্তরঃ মাউণ্ট এভারেষ্টত অরুণিমাই ২১ মে’ ২০১৩ তারিখে আরোহণ করিছিল । তেওঁ তাত প্রায় ডের ঘণ্টা সময় ধরি আছিল ।



২। অরুণিমা সিনহাই রে’লযাত্রার সময়ত কি দুৰ্ঘটনার মুখামুখি হ’বলগীয়া হৈছিল? এই দুৰ্ঘটনাত অরুণিমাই কি হেরুৱাবলগীয়া হৈছিল?

উত্তরঃ লক্ষ্মৌৰ পরা দিল্লী অভিমুখে আহি থকা রে’লগাড়ীখনত যি খনত চাব্বিছ বছর বয়সীয়া ছোৱালী অরুণিমাও আহিছিল, হঠাৎ ডকাইতে রেল’র ডবা এটাত দখল করি ল’লে । ডকাইতকেইটাই সকলোরে পরাই লুন্ঠন চলোৱা আরম্ভ করিছিল । অরুণিমার এডাল চেইন আছিল যিডাল ডকাইতকেইটাই ধমকি দি তাই পরা বিচারি আছিল । কিন্তু তাই ডিঙিৰ চেইনডাল তাইর মাকে তাইর মরমেরে দিয়া আৰ্শীবাদ বুলি দিবলৈ অমান্তি হৈছিল । সেয়েহে দুজন ডকাইত আহি অরুণিমাক ডাংকোলাকৈ তুলি নি চলন্ত রে’লগাড়ীর পরা দুৱারেরে বাহিরর আন্ধারলৈ দলিয়াই দিছিল । সেই মুহূৰ্ততে ওচরেদি আহি থকা চলন্ত এখন রে’লগাড়ীত খুন্দা খাই বস্তা এটার দরে তললৈ পরি গৈছিল । অরুণিমাই চিঞরিছিল কিন্তু রেল’র ইঞ্জিন আরু চকার শব্দত কোনেও শব্দ নুশুনিলে লগতে দেখিলেও ভয়তে আগবাঢ়ি হৈছিল । তার পিছত পিছদিনা, প্রথমে বৰেলী হস্পিতালত আরু পিছত নতুন দিল্লীর অল ইণ্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব্ মেডিকেল চায়েন্সত চিকিৎসার ব্যৱস্থা করা হৈছিল । কোনোৱে কোনোৱে ক’লে যে টিকট নোহোৱাকৈ ভ্রমণ করোতে কণ্ডাক্টরে টিকট বিচরাত রে’লগাড়ীর পরা জাঁপ মারিছিল আরু কোনোৱে কোনোৱে অরুণিমাই আত্মহত্যা করিবলৈ রে’লআলিলৈ গৈছিল বুলি কৈছিল । তেওঁ এই কথাষার শুনিছিল আরু অতন্ত্য দুখ করিছিল কিন্তু সকলো কথাকে প্রত্যাহ্বান হিচাপে লৈ নতুনকৈ জীৱনটোক গঢ় দিবলৈ সংকল্পবদ্ধ করি তুলিছিল ।
এই ঘটনাত অরুণিমার এখন ভরি চিরদিনর বাবে হেরুৱাবলগীয়া হৈছিল । আনখন ভরিত রড সুমুৱাই তার সহায়েরে চলাফিরা করিব পরা হ’ল । লগতে, হেরুওৱা ভরিখনর ঠাইত কৃত্রিম ভরি এখন সংযোজন করা হ’ল ।  

৩।  অরুণিমার সপোন পূরণ করার ক্ষেত্রত বাচেন্দ্রি পালে কেনেদরে সহায় করিছিল?
অথবাঃ এভারেষ্ট বিজয়র সপোন দিঠকত পরিণত করিবলৈ অরুণিমাই কেনেদরে অনুশীলন করিছিল?

উত্তরঃ
বাচেন্দ্রি পাল বাচেন্দ্রি পাল এভারেষ্ট বিজয়ী আছিল । অরুণিমাই হস্পিতালত থকার সময়তে হিমালয়র শৃংগলৈ উঠার সপোন দেখিছিল । সেয়ে চারিমাহর পাছত, হাস্পতালর পরা ওলাই প্রথমে বাচেন্দ্রি পালর ওচরলৈ গৈছিল । বাচেন্দ্রি পালে অরুণিমার সকলো সপোনর বিষয়ে সহমৰ্মিতাই শুনিছিল । অরুণিমার দুচকুর সপোন, প্রত্যাহ্বান আরু আত্মপ্রত্যয়র ভাব দেখি বাচেন্দ্রি পালর বিশ্বাস হৈছিল যে প্রশিক্ষণ আরু সাহস পালে অরুণিমাই এদিন লক্ষ্যত উপনীত হ’ব পারিব । সেয়েহে টাটা ষ্টীল এডভেঞ্চার ফাউণ্ডেচনে চলোৱা অনুশীলন কেম্পত এভারেষ্ট বিজয়িনী বাচেন্দ্রি পালর তত্ত্বাৱধানত অরুণিমার অনুশীলন চলিছিল । প্রশিক্ষণ কালত শারীরিক আরু মানসিক দুয়ু দিশতে অরুণিমাই দৃঢ়তা আরু অধ্যৱসায় আছিল । ভরিখন হেরুওৱাৰ দুৰ্ভাগ্যক সৌভাগ্যলৈ রুপান্তর করার প্রতিজ্ঞারে অরুণিমাই অশেষ কষ্ট করিছিল । প্রায় এবছরকাল অরুণিমাই একেরাহে অনুশীলন অব্যাহত রাখিছিল । অনুশীলনর সময়ত এজন স্বাভাৱিক মানুহে যিটো খোজ দিওঁতে দুই মিনিটতে শিকিব পারে, অরুণিমার বাবে সেয়া তিনিঘণ্টাও লাগিছিল । তথাপি অরুণিমাই হার মানা নাছিল আরু বাচেন্দ্র পালে সকলো সময়তে অরুণিমাক সহায় করিছিল ।     

৫। অরুণিমা সিনহাই কিয় লাডাখত থকা মাউণ্ট চামেছর কাংরির অভিযান সম্পূর্ণ করিব নোৱারিলে?
অথবাঃ অরুণিমার প্রথম অভিযানর বিষয়ে আলোচনা করা ।
৬। অরুণিমা সিনহার এভারেষ্ট অভিযানর বৰ্ণনা দিয়া ।
অথবাঃ অরুণিমা সিনহার দ্বিতীয় অভিযান বৰ্ণনা দিয়া ।

উত্তরঃ
 প্রথম অভিযানঃ
অরুণিমার এখন ভরিত লোর রড লগোৱা আছিল আরু আনখন ভরিত কৃত্রিম ভরি সংযোজন করা হৈছিল । যার বাবে হিমালয়র শৃংগর নিচিনা এক পৰ্বতারোহণ অভিযান তাইর বাবে অকল্পনীয় বিষয় আছিল । তথাপি তাইর উদ্যম সাহস আরু সপোনে তাইক এই কামত উৎসাহ আরু উদ্দীপনা যোগাইছিল । এই অভিযানত তাই ভরি তেজেরে তুমরলি হোৱাৰ নিচিনা অৱস্থা হৈছিল তথাপি তাই সেই আশা বাদ দিয়া নাছিল । তাইর অভিযানত লগত থকা আরু সহায় করা শ্বেৰপাজনে তাইক উভতি যোৱাৰ বাবে তাইক পরামৰ্শ প্রদান করিছিল । তথাপি তাই হার মানা নাছিল । তাই লাডাখত থকা মাউণ্ট চামছের কাংরির ২১, ১০৮ ফুট উচ্চতালৈ আরোহণ করিবলৈ সক্ষম হৈছিল । কিন্তু চামছের কাংরিরর উচ্চতম শিখরর উচ্চতা ২১,৭৯৮ আছিল । সেই দিনা বতর অত্যন্ত প্রতিকূল আছিল এই বতরত অভিযান চলোৱা অরুণিমা আরু আন সহযোগী সকলর বাবে অসম্ভৱ হৈ পরিছিল । সেয়েহে ৬৯০ ফুট অতিক্রম করিবলৈ বাকী থকা স্বত্তেও অভিযান সামরি অরুণিমা আরু আন সকলো উভতি আহিব লগা হৈছিল । এই অভিযানত অসফল হোৱা বেদনাই অরুণিমার মনোবল কম করা নাছিল তার পরিৱৰ্তে তাইর ভরির বেয়া অৱস্থা স্বত্তেও ২১,১০৮ ফুট অতিক্রম করিব পরাটোয়ে তাইক অধিক দৃঢ় আরু সাহস বঢ়াইছিল ।

 দ্বিতীয় অভিযানঃ

অরুণিমাই দ্বিতীয়বারলৈ মাউণ্ট এভারেষ্টর শৃংগত বগাবলৈ সাজু হ’ল । শৃংগত গৈ ফটো তোলা আরু অভিজ্ঞতাবোরর ভিডিঅ’ করিবলৈ দুটা কেমেরা লগত লৈ গৈছিল । লাগতিয়াল পানী আরু অক্সিজেনো লগত লৈ গৈছিল । চারি নিং কেম্প পাওঁতে তাইর ভরিদুইখন তেজ নিগরি ভয়ঙ্কৰ অৱস্থা পাইছিল । লগতে, অক্সিজেনো শেষ হবলৈ ধরিছিল । সেই সময়ছোৱাত মৃত্যুর বাহিরে আন কোনো উপায় নাছিল । তথাপি সাহসেরে অরুণিমাই কৈছিল যে সিমানখিনিলৈকে গৈ আরু ঘূরি যোৱাৰ প্রশ্ন নুঠে আরু যি হয় দেখা যাব বুলি ক’লে । তেজ নিগরি থকা আঠু দুটাত রুমালেরে তেজ মছি মছি আগুৱাই গৈছিল । যাত্রার পথত বহুতো মৃতদেহ দেখা পাইছিল । তথাপি সকলো বাধা নেওচি প্রচণ্ড পরিশ্রম, অদম্য মনোবল আরু কষ্টসহিষ্ণুর বলত সফল হৈছিল । কাঠমাণ্ডুরপরা অরুণিমাই যাত্রা আরম্ভ করি বাৱন(৫২) দিনর অন্তত নিশা প্রায় আঠ বজাত ৮৮৪৮ মিটার উচ্চতাত গৈ মাউণ্ট এভারেষ্টর শৃঙ্গত পদাৰ্পণ করিবলৈ সক্ষম হৈছিল । শ্বেৰপাজনে অরুণামক ভারতর জাতীয় পতাকা সাৱটি ধরার সৈতে ফটো তুলিছিল । তার পিছত প্রায় ডের ঘণ্টাকাল এভারেষ্টত থকার পিছত অক্সিজেন কম হৈ অহার বাবে অতি সোনকালে ঘূরি আহিল আরু তেওঁর সপোন পূৰ্ণ হ’ল ।    





৭। ‘একোগরাকী ব্যক্তিয়ে নিজর প্রতিভারে জাতীয় জীৱনত জিলিকি উঠি আন সহস্রজনর বাবে আশা আরু প্রেরণার বতরা কঢ়িয়াই আনে ।’ -কথাষারর যুক্তিযুক্ততা অরুণিমা সিনহার জীৱনর আধারত বুজাই লিখা ।

উত্তরঃ ‘একোগরাকী ব্যক্তিয়ে নিজর প্রতিভারে জাতীয় জীৱনত জিলিকি উঠি আন সহস্রজনর বাবে আশা আরু প্রেরণার বতরা কঢ়িয়াই আনে ।’ এনে আশা আরু প্রেরণাই বহুজনক আনন্দ দিয়ে, হতাশা দূর করে আরু আগলৈ পুনর নতুন উদ্যমরে আগবাঢ়ি গৈ লক্ষ্যত উপনীত হ’বলৈ সাহস যোগায় । একলব্যই সাধনা আরু একাগ্রতার বলত সিদ্ধি লাভ করার দরেই অরুণিমা সিনহাই সাধনা আরু একাগ্রতার বাবেই মাউণ্ট এভারেষ্ট শৃঙ্গত পদাৰ্পণ করিবলৈ সক্ষম হৈছিল । শব্দভেদী বাণ মরা জ্ঞান প্রাপ্তির বাবে নিশা ঘিটমিটীয়া আন্ধারর মাজত গভীর অরণ্যত গৈ শব্দ অনুসরণ করি কাঁড় মারিবলৈ অভ্যাস করি কৃতকাৰ্য হোৱাৰ দরেই অরুণিমা সিনহাই বাচেন্দ্রি পালর সহযোগত পৰ্বতাৰোহণৰ অভ্যাস করিছিল । বিরল প্রতিভার জরীয়তে ষ্টীফেন হকিঙে সক্ষম বিজ্ঞানী হৈ সমগ্র বিশ্ববাসীর হৃদয় জয় করার দরে অরুণিমা সিনহাই দুই ভরির অক্ষম হোৱা স্বত্তেও শৃঙ্গত জয় হৈ আন অক্ষম আরু বৃকলাংগলোকর বাবে প্রেরণা যোগাইছিল । অরুণিমার ভাষাত তাই এজনী মাত্র অরুণিমা নহয়, তাইর দরে হেজার বিজার অরুণিমা আছে, আমি সকলোৱে যদি সেইসকলক চিনাক্ত করি জীৱনর বাটত আগবাঢ়ি যাবলৈ, লক্ষ্যভেদ করিবলৈ প্রেরণা যোগালে সঁচা অৰ্থত দেশর কাম করা হ’ব । 




৮। ক্রিকেট খেলুৱৈ যুৱৰাজ সিঙে অরুণিমাক কেনেদরে অনুপ্রাণিত করিছিল ?

উত্তরঃ অরুণিমার প্রথমবার লাডাখত থকা মাউণ্ট কাংরির অভিযান সফল হোৱা নাছিল । তথাপি তাই হতাশ নহ’ল । এই সমছোৱাত অরুণিমার মনোবল বঢ়াই লক্ষ্যত উপনীত হোৱাত প্রখ্যাত ক্রিকেটার যুৱরাজ সিঙে তাইক অনুপ্রাণিত করিছিল । যুৱরাজ কৰ্কট রোগত আক্রান্ত হৈছিল । তথাপি নিজর অদম্য মানসিক শক্তির সহায়ত বেমারর পরা আরোগ্য লাভ করিছিল আরু নিজর লক্ষ্যত উপনীত হোৱাত সফল হৈছিল । যুৱরাজর এই সফল আরু সক্ষমতাক অরুণিমাই দেখিবলৈ পাইছিল আরু অনুভৱ করিছিল । যুৱরাজে তাইক দেখুৱাই দিছিল যে মনর বল আরু আত্মবিশ্বাস থাকিলে শারীরিক বাধাই কোনো প্রতিরোধর সৃষ্টি করিব নোৱাৰে আরু জীৱনৰ উত্তরণর বাটতো ই হেঙাৰ হব নোৱাৰে ।


updating...........